চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ১০টি বাংলা মাধ্যম স্কুল

একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু আপনার সন্তানের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার নিশ্চয়তাই দেয় না, বরং তার ভবিষ্যৎ ব্যক্তিত্বকেও প্রভাবিত করতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই আমরা শিখতে পারি পারস্পরিক সহানুভূতি, একতা, ন্যায়পরায়ণতা, অধ্যবসায় ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের মূলমন্ত্র। আর কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এমন সব গুণের জন্যই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে। আজকে আমরা আলোচনা করবো এমনই ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে, যারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বোর্ডে শীর্ষস্থান অর্জনের মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে সবার হৃদয়ে। চলুন, বিস্তারিত জেনে আসি স্কুলগুলো সম্পর্কে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯০৯ 
প্রতিষ্ঠাতা: হাজি মুহম্মদ মুহসীন 
অবস্থান: কোতোয়ালি থানাধীন আব্দুর রহমান সড়কে, আদালত ভবন (কোর্ট বিল্ডিং) এর সামনে 
শ্রেণি: ৫ম-১০ম 
শিক্ষার্থী: বালক
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: মমতাজ আকতার 

৩.৭২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল চট্টগ্রামের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুলটির বিল্ডিং সংখ্যা ১০। এর মধ্যে প্রশাসনিক ভবন ১টি, অ্যাকাডেমিক ভবন ৩টি, বিজ্ঞান ভবন ১টি, ছাত্র মিলনায়তন ১টি, জিমনেশিয়াম ১টি, মসজিদ ১টি ও খেলার মাঠ আছে ২টি (ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠসহ)। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রভাতি ও দিবা শাখায় ২৬ জন করে সর্বমোট ৫২ জন শিক্ষক রয়েছেন। স্কুলের আনুমানিক ছাত্র সংখ্যা ২৫০০ জন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থান ধরে রাখছে এই স্কুলটি। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে শতভাগ পাশের কৃতিত্বসহ তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুসলিম হাই স্কুল। পড়ালেখার পাশাপাশি স্কুলটিতে সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফুটবল, টেবিল টেনিস, হকিসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন এবং স্কাউটিং ও  যুব রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । স্কুলটির পাঠাগারে আছে ২ হাজারেরও বেশি বই। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬১  
প্রতিষ্ঠাতা: স্টেশন কমান্ডার কর্নেল আহমেদ আলী শেখ, টি পিকে
অবস্থান: বায়েজিদ বোস্তামি রোড, চট্টগ্রাম ৪২১০ 
শ্রেণি: নার্সারি-দ্বাদশ
শিক্ষার্থী: বালক-বালিকা 
বর্তমান প্রধান শিক্ষক:  কর্নেল মুজিবুল হক সিকদার, পিবিজিএম

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও খেলাধুলাসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের ৪টি হাউজে (প্রীতিলতা, নজরুল, জাহাঙ্গীর, ফজিলাতুন্নেছা) ভাগ করে বির্তক, আবৃত্তি, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্ল গাইডস, রেড ক্রিসেন্ট প্রভৃতি সংগঠনের সদস্য হতে পারে। প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে দুইটি খেলার মাঠ,  স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বিশাল ও সমৃদ্ধ পাঠাগার,  ১২০০ আসনবিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, ২৪ আসনবিশিষ্ট কম্পিউটার ল্যাব এবং রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের জন্য পৃথক পৃথক আধুনিক গবেষণাগার রয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রয়েছে ১২টি বাস। মাসিক নির্দিষ্ট ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৮৩৬  
প্রতিষ্ঠাতা: বাংলাদেশ সরকার 
অবস্থান: আইস ফ্যাক্টরি রোড, সদরঘাট
শ্রেণি: পঞ্চম-দ্বাদশ  
শিক্ষার্থী: বালক
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছাত্র সংখ্যা ২৩২০ জন। ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার জন্য রয়েছে আলাদা মাঠ। এছাড়াও ২টি প্রধান বড় মাঠসহ স্কুলের ভেতরে-বাইরে মোট ৭টি ছোট-বড় মাঠ রয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ের জন্য রয়েছে আলাদা গবেষণাগার। এছাড়াও রয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি সুবিশাল লাইব্রেরি, যেখানে ছাত্ররা পছন্দমতো বই বসে পড়তে পারে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধার নিতে পারে। স্কুলে একটি মসজিদও রয়েছে।

স্কুলের ছাত্রাবাসটি তিন অংশে বিভক্ত। এর পূর্বাংশ মুসলিম ছাত্রদের জন্য ও পশ্চিমাংশ হিন্দু ছাত্রদের জন্য। উত্তরাংশ বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ছাত্রদের জন্য। ছাত্রাবাসে ১২০ জন ছাত্রের বসবাসের ব্যবস্থা আছে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭৯   
প্রতিষ্ঠাতা: মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী 
অবস্থান: জাকির হোসেন রোড, চট্টগ্রাম 
শ্রেণি: তৃতীয়-দ্বাদশ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) 
শিক্ষার্থী: বালক-বালিকা 
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মইনুল ইসলাম চৌধুরী

প্রতি বছর যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় স্কুলগুলোর মধ্যে নাম দেখা যায় ইস্পাহানী স্কুল ও কলেজের। এজন্যই এটি চট্টগ্রামের অন্যতম জনপ্রিয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে একটি অডিটোরিয়াম, প্রায় ২০০০ বইয়ের সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরি এবং পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ক ল্যাব রয়েছে। ব্যাডমিন্টন এই প্রতিষ্ঠানে জনপ্রিয় খেলা। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন ইনডোর গেম চর্চার ব্যবস্থা। প্রতি বছর এখানে ক্রিকেট, ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৪২৪ জন। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬২   
অবস্থান: কোতোয়ালি, দামপাড়া, ওয়াসা, চট্টগ্রাম
শ্রেণি: শিশু শ্রেণি-দ্বাদশ  
শিক্ষার্থী: বালিকা 
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: আনোয়ারা বেগম

চট্টগ্রামে বাওয়া স্কুল নামেও পরিচিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও পারদর্শী। খেলাধুলা, নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বই পড়া কর্মসূচি ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯০৭    
প্রতিষ্ঠাতা: যাত্রামোহন সেন
অবস্থান: জামালখান সড়ক, জামালখান, চট্টগ্রাম
শ্রেণি: শিশু শ্রেণি-দ্বাদশ   
শিক্ষার্থী: বালিকা 
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: শাহেদা আকতার 

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় চট্টগ্রামের সুপরিচিত ও স্বনামধন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তার আদর্শ শিক্ষামানের পরিচয় দিয়ে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২টি শিফটে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাদান করে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত হতেও উৎসাহ দেয়। স্কুলটিতে খেলার মাঠ, কম্পিউটার ল্যাব, সায়েন্স ল্যাব, হল ও মিলনায়তনসহ একটি বড় ব্যায়ামাগার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভাষা শিক্ষা (ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায়), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংস্থা, বিতর্ক, বুনন, অঙ্কন ও গার্ল গাইডস এর ব্যবস্থা । 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬৭    
প্রতিষ্ঠাতা: বাংলাদেশ সরকার
অবস্থান: সিডিএ এভিনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম
শ্রেণি: পঞ্চম-দ্বাদশ (প্রভাতি ও দিবা) 
শিক্ষার্থী: বালক 
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: মো. আবদুর রহমান 

চট্টগ্রামের অন্যতম পরিচিত এই স্কুলটিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩০০০। প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবনটিতে রয়েছে গ্রন্থাগার, উপাসনা কক্ষ, মিলনায়তন, স্কাউট কক্ষ, বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আলাদা গবেষণাগার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রেণিকক্ষ। স্কুলের সীমানার মধ্যেই রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ও ছাত্রদের ছাত্রাবাস। এছাড়াও রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, যেখানে বছরের বিভিন্ন সময় আন্তঃস্কুল ও আন্তঃনগর ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। স্কুলের সীমানার অভ্যন্তরে একটি মসজিদও রয়েছে। এছাড়াও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে স্কুলটিতে শিশু-কিশোর মেলা, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বিজ্ঞান ক্লাবের ব্যবস্থা রয়েছে। 

প্রতি বছর নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ছাত্ররা ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯০৬     
অবস্থান: কলেজ রোড, চকবাজার, চট্টগ্রাম
শ্রেণি: পঞ্চম-দ্বাদশ (প্রভাতি ও দিবা) 
শিক্ষার্থী: বালক-বালিকা  
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

২০২০ সালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভর্তি প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। স্কুলটিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা আনুমানিক ২১০০। প্রতিষ্ঠানের সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আন্তঃবিদ্যালয় বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশিপ, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, আন্তঃস্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট, গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াড, রসায়ন অলিম্পিয়াড, জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, জ্যোতির্বিদ্যা অলিম্পিয়াড, জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াড ও বিজ্ঞান মেলার ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম জেলায় বিতর্কের জন্য অন্যতম সেরা স্কুল। দৃষ্টি আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এটি সর্বমোট আটবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭৭    
চেয়ারম্যান: রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক
অবস্থান: সেইলর্স কলোনি, বন্দর, চট্টগ্রাম
শ্রেণি: প্রথম-দ্বাদশ (প্রভাতি ও দিবা) 
শিক্ষার্থী: বালক-বালিকা  
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: ক্যাপ্টেন মো. আশরাফুল আলম

প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য একটি মাঠের পাশাপাশি কলেজ প্রাঙ্গণে রয়েছে একটি বাস্কেটবল গ্রাউন্ড। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি মিলনায়তন ও ক্যান্টিন। স্কুল ভবনের দুই তলায় একটি পাঠাগার রয়েছে, যেখানে প্রায় ৬ হাজার বই রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পৃথক কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কুল ভবনে রয়েছে মোট ৫৯টি শ্রেণিকক্ষ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, কাবাডিসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ এবং স্কাউট, বিতর্ক, সংগীত চর্চার মতো নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা রয়েছে। 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬৭    
প্রতিষ্ঠাতা: বাংলাদেশ সরকার
অবস্থান: বাকলিয়া, চট্টগ্রাম
শ্রেণি: পঞ্চম-দ্বাদশ (প্রভাতি ও দিবা) 
শিক্ষার্থী: বালক-বালিকা  
বর্তমান প্রধান শিক্ষক: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ৪টি ভবন নিয়ে গঠিত। মূল ভবনে রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষকের অফিস, শিক্ষকদের সমাবেশ কক্ষ, অ্যাকাউন্ট ও কর্মচারীদের অফিস, অডিটোরিয়াম, স্কাউট ও বিএনসিসি কক্ষ, পাঠাগার, সায়েন্স ল্যাব ও পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণিকক্ষ। প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি বছর এই বিদ্যালয়ে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

সবার ভালোবাসা ও উন্নয়নের গতিশীলতা ধরে রেখে উপর্যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বহু বছর ধরে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। আশা করি, ওপরের তথ্যগুলো আপনাকে সন্তানের জন্য আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নিতে সাহায্য করবে। 

Author

  • Mehelika Anan

    Hello there! I'm Mehelika, an English literature student at ULAB. While reading comes more naturally to me than writing, I've always found it easier to express myself through pen and paper.

    View all posts

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *